কালের নারায়ণগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টারঃ-
অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নদী তীরগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে। নৌ পথে পর্যায়ক্রমে সাশ্রয়ী বাণিজ্যিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ডেমরা ঘাট শুল্ক আদায় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা জানান।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডেমরা ঘাটের পূর্ব পাশে বিআইডব্লিউটিএ’র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল প্রকার মালামাল লোড-আনলোডের জন্য আরসিসি জেটি স্থাপন করা হবে।
এছাড়াও শীতলক্ষ্যা ও বালু নদের সংযোগস্থল সংলগ্ন নদীর চরে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কারণ নদীগুলো বাংলাদেশের মানুষের জীবন সংস্কৃতির একটি বিরাট অংশ। তাই নদীগুলোর প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে নদীতে নানা কাজে নদ-নদী ব্যবহারকারী লোকজনসহ তীরবর্তী অধিবাসীদের সচেতন হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি।
পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে কিছুতেই নদ-নদীতে গৃহস্থালীর আবর্জনাসহ কোন প্রকার ময়লা ফেলা চলবে না।’ এ সময় স্থানীয় ঘাট পয়েন্টের ইজারাদার কর্তৃক সরকার (বিআইডব্লিউটিএ) নির্ধারিত শুল্ক আদায় কেন্দ্রের আদায়যোগ্য শুল্ক হারের তালিকা দেখেন।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নির্মিতব্য বিআইডব্লিউটিএ’র পানগাঁও কার্গো টার্মিনাল, ডিইপিটিসি আধুনিক নৌ-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আনন্দ বিল্ডার্স ডকইয়ার্ডে নির্মিত প্রশিক্ষণ জাহাজ, সোনাকান্দা নৌ-বাহিনীর ডকইয়ার্ড, নারয়ণগঞ্জ অংশের সীমানা পিলার স্থাপন ও নির্মিত ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন।