আমার নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক সাংবাদিক জান্নাতের ২৫তম শুভ জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
যেখানে অন্যায় অত্যাচার, অপরাধ, দুর্নীতি, দুঃশাসন সেখানেই নির্ভীক, সাহসী, এক সাংবাদিকের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত। দৈনিক আমার নারায়ণগঞ্জ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাতের ২৫তম জন্মদিন আজ।

তিনি ১৯৯৯ সালের এই দিনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরীবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

জান্নাতের জন্মদিন উপলক্ষে তার বাবা জয়নাল আবেদীন দেশবাসীর সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমার চার মেয়ে ও দুটি ছেলে। এদের মধ্যে জান্নাত ছোট মেয়ে। আমার মেয়ে আমার জীবনের সুখের শেষ বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলো।

জানা গেছে, জান্নাত র্দীঘ দিন ধরে সাংবাদিকতা পেশায় সাথে যুক্ত রয়েছেন।

খুব সহজ সরল একজন মানুষ ও বিদগ্ধজন। লেখালেখির জন্য নিবেদিত প্রাণ। সংবাদপত্রে লেখালেখি শুরু করেছিলেন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়ার সময়। এখনও লেখেন নিয়মিত । তবে বয়স আস্তে আস্তে বাড়লেও মনের দিক থেকে এখন অনেক শক্ত। মনটা সতেজ ও সবুজ। দিব্য দৃষ্টি সব দেখেন। দেখার চোখ বাঁচিয়ে রেখেছেন। আগলে রেখেছেন বোধ-বুদ্ধি-বিবেক। হ্যাঁ, তার লেখার উদ্দেশ্য সমাজ ও দেশ কে দুর্ণীতিমুক্ত করা আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা। পাঠককে মুগ্ধ করে রেখেছে সৃষ্টি সম্ভার। এভাবে স্বতন্ত্র উচ্চতায় আজ সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত।

তার জীবনের একমাত্র নেশা ও পেশা হলো শুধুমাত্র লেখালেখি করা।যখনই তার সাথে দেখা হয় তখন দেখা যায় তার লেখার যন্ত্রটা ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বসে আছেন।কেউ কোন কথা বলতে গেলে তিনি তেমন কোন সময় দিতে পারেন না।তার চিন্তা একটাই কখন লেখাটা শেষ করা। তারপর অপেক্ষায় বসে থাকেন কোন কোন পত্রিকায় তার লেখাটা প্রকাশ করছে।লেখা দেখার পর তার মনে শান্তি আসে।এর আগ পর্যন্ত একটা অস্তিরতার মধ্যে থাকেন।দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু লেখতে পারলেই তিনি নিজে কে ধণ্যমনে করেন। কারন তার উদ্দেশ্য হলো টাকার অভাবে যেহেতু তিনি মানুষের কোন সেবা করতে পারেন না তাই তিনি লেখার মাধ্যমে মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেও জাতির কাছে তার কিছুটা ঋণ পরিশোধ হবে।এটাই হলো তার মূল উদ্দেশ্য। দেশের, সমাজের, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চলমান সমস্যাগুলো দেশের সচেতন মানুষের সামনে তুলে ধরেন।এতে করে দেশের,সমাজের ও মানুষের বিন্দুমাত্র হলেও উপকার হতে পারে।তার লেখার মাধ্যমে কোন মানুষের দেশের ও সমাজের নামমাত্র উপকার হলেও তার মনে শান্তি চলে আসে।তার লেখার মাধ্যমে দেশের গ্রাম-গঞ্জের অবহেলিত মানুষের জীবনমানের লেখাই বেশী থাকে।যাদের খবর দেশের সচেতন মহল বেশীর ভাগই রাখেন না।যারা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে থাকে।তার লেখক হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটটা, বলতে হবে, একটু ভিন্ন ছিল। লেখক হিসেবে তার ছিল হাজারো প্রতিবন্ধকতা। বিরুদ্ধ একটি সময়ের সঙ্গে তাকে লড়তে হয়েছে। তবে হাল ছাড়েননি। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছেন। এভাবে আজকের সাংবাদিক ও কলামিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত।

তার ২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি বলেন,আমি আমার বয়স নিয়ে ভাবি না বয়স হয়েছে, আরও হবে। হোক। সে নিয়ে ভাবি না। লেখা আমার, পেশা, নেশা ও প্রেম। শেষ দিনটি পর্যন্ত লিখে যেতে চাই। লেখালেখিটা আমার দেহ ও রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এ নিয়ে থাকতে চাই বাকি দিনগুলো। তিনি বলেন আরও একটা বছর আমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। অনেক অনেক দিন আগের কথা নয়। এই তো সেদিনের কথা। আমিও তরুনী ছিলাম।

দেশবাসী ও সবার কাছে আমার একটাই চাওয়া সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো সারাজীবন এইভাবে সমাজের মাঝে সত্যতা প্রকাশ করে যেতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *