Daily kaler Narayanganj:জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ করিম সেলিম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কারাবন্দি জাকির খান অসুস্থ, তার জন্য সকল মা বোন মুরুব্বিদের কাছে দোয়া চাই।
জাকির খানের অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুদৃষ্টি রয়েছে। বর্তমান সময়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মাদকচক্র ও ভূমিদস্যুদের দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান ও জাকির খান। বিএনপির কারো সাথে ভেদাভেদ চাই না, সকলেই আমরা শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার আদর্শের সৈনিক।
২০০১ সালের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ পাঁচটি আসনের এমপি প্রার্থী জাকির খানকে পাশে চেয়েছেন। এই সরকার আমলে কবে নির্বাচন দিবে এমন তথ্য কারো কাছে নেই। জাকির খান তার সকল সৈনিকের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ভোটারদের পাশে দাঁড়াতে হবে, যেন তারা ধানের শীষকে ভোট দেয়। যদি ধানের শীষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারলে দলের প্রধান খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জাকির খানের সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। মহানগর বিএনপির প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন এলাকায় নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রোগ্রাম করার নির্দেশনা দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনে জাকির খানের জন্য আমাদের টার্গেট। আমরা সবাই কোন প্রার্থী হওয়ার বিরুদ্ধে কথা বল রাজনীতি কোন বক্তব্য থাকলে জাকির খান। নজেই দিবেন।
৬ অক্টোবর জাকির খানকে আদালতে আনা হবে, সেদিন তার পাশে আমরা সকলে থাকবো। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৬নং ওয়ার্ডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শহীদদের স্মরণে ও বেগম খালেদা জিয়া এবং মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের রোগমুক্তি কামনায় জাকির খান মুক্তি পরিষদের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। জাকির খান মুক্তি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহাম্মেদ বলেছেন, জাকির খান মাইলফলক রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আর্বিভাব হয়েছিলেন।
অত্যন্ত দুঃখজনক জাকির খানকে বিএনপির কুচক্রীমহল দাবিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু জাকির খানের সৈনিক সব বাধা উৎখাত করে দিবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের নজরে রয়েছেন। কোন বাধাকে আটকিয়ে রাখতে পারবে না কেউ।
এই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাকির খানকে বিএনপি থেকে নিবার্চিত করতে চাই। তাই ত র সকলকে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মাদকচক্র ওভূমিদস্যুদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। সেখানে এমন ঘটবে সেখানে আমরা বাধা হয়ে প্রতিবাদ করবো। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. নূর হানিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ করিম সেলিম। প্রধান আকর্ষণ ছিলেন জাকির খানের ছোট ভাই মামুন খান, প্রধান বক্তা ছিলেন জাকির খান মুক্তি পরিষদের যুগ্ম ফরিদ আহাম্মেদ, বিশেষ বক্তা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকির খান মুক্তি পরিষদের সদস্য মো. সারোয়ার করিম, সেন্টু আহম্মেদ, মো. নাছির, মির্জা খোকন, মেহেদী হাসান লিটন, রিপন। আয়োজক ছিলেন ফয়সাল রহমান, টিটু, রাজীব, জামান, রনি, আলতাফ, সান্টু, মামুনুর রহমানসহ আরও অনেকে।