কালের নারায়ণগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টারঃ-
রূপগঞ্জে লেক থেকে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের হত্যাকান্ডে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দাবি আটককৃত নারীর সাথে নিহতের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
আটককৃত নারীর নাম মোসা. রুমা আক্তার বাবা মো. নজর আলী, ময়মনসিংহ গৌরিপুর তাতরাকান্দা এলাকায় তার বাড়ি । জানা যায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি, ১টি হেসকো ব্লেড এবং ডিসিস্ট এর পরিহিত সাফারি, একজোড়া স্যু উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৩ নভেম্বর সকাল ৯ টায় সংবাদ পাওয়া যায় যে পূর্বাচল নাম্বার সেক্টর সংলগ্ন লেকের পাড় বস্তাবন্দি অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। সংবাদ প্রাপ্তির পর এসআই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান একটি কালো পলিথিন ব্যাগ এর ভিতরে বয়স অনূর্ধ্ব ৪০, অজ্ঞাত পুরুষ এর বিচ্ছিন্ন মাথা, দুইটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বিচ্ছিন্ন বুকের পিছনের অংশ ধারালো অস্ত্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পেটের ভুরি, ফেপসা কলিজা এবং অন্যান্য দেহের আশ একটি সাদা পলিথিনের ভিতর মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। পরে নিয়ম অনুযায়ী সুরত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৃতের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হসপিটালে প্রেরণ করেন। লাশ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে আছে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহতের আত্মীয়-স্বজন মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত পূর্বক জানা যায় যে, সে ফতুল্লা সস্তাপুর মৃত হাজী আলেক চান বেপারীর ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন মাসুম। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকেন। তার ড্রাইভার মো. মালেকের কাছ থেকে প্রাথমিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে সহকারী পুলিশ সুপার ও সার্কেলের নেতৃতে ও অফিসার ইনচার্জ রূপগঞ্জ থানার সহায়তায় রূপগঞ্জ থানার একটি টিম সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্দিগ্ধ আসামি সনাক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামি রুমা’কে কাফরুল শেওড়াপাড়া আসামীর ভাড়াটিয়া বাসা গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, প্রেম ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ড ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টায় বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।